বাংলা অবরোধ: ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে জাবি শিক্ষার্থীরা

 বাংলা অবরোধ: ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে জাবি শিক্ষার্থীরা

রথযাত্রাকে সম্মান জানিয়ে দুপুর ১টায় অবরোধ শেষ করার ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা

সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিল ও ২০১৮ সালের সার্কুলার পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভের সপ্তম দিনের মতো ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হন।

পরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার হয়ে ডেইরি গেট সংলগ্ন প্রধান ফটকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

অবরোধের ফলে গাবতলী থেকে নবীনগর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়, এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর যাত্রীরা বাস থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেন।

ঢাকাগামী এক যাত্রী শফিকুল ইসলাম খান বলেন, "এই তীব্র গরমে অবরোধের কারণে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু যেহেতু সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্দোলন, তাই এটি একটি যৌক্তিক ও কল্যাণকর কারণ। তাই আমরা এই দুর্ভোগ মেনে নিচ্ছি।

বাংলা অবরোধ কর্মসূচির পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও মহাসড়ক একযোগে অবরোধ করার কথা থাকলেও ধর্মীয় কর্মসূচিকে সম্মান জানিয়ে অবরোধ কর্মসূচির সময় চার ঘণ্টা বাড়ানো হয়। যাত্রা।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরিফ সোহেল বলেন, আমরা জানতে পেরেছি পরিকল্পিত সময়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করা হলে ৪০০ বছর ধরে পালিত ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা ব্যাহত হবে। অনুষ্ঠান শুরু হয় ধামরাই থেকে।"

তিনি বলেন, আমরা দুপুর ১টায় অবরোধ কর্মসূচি শেষ করব।

শনিবার শাহবাগ মোড় এক ঘণ্টা অবরোধ করার পর শিক্ষার্থী ও সরকারি চাকরি প্রত্যাশীরা তাদের অবরোধ তুলে নেন এবং রোববার বিকেল ৩টায় ‘বাংলা অবরোধ’ নামে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

‘বাংলা অবরোধ’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে সারাদেশের প্রতিটি মোড় ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করা হবে।

সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তকে বেআইনি ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বৃহস্পতিবার বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

শুক্রবার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা বাতিলের সার্কুলার অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এর ফলে সরকারি চাকরিতে (গ্রেড 9 থেকে 13) মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য 30% কোটা বহাল থাকবে।

হাইকোর্টের এই রায়ের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও বিক্ষোভ হয়েছে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

Ads