কাঁঠাল খাওয়ার ১২ উপকারিতা
কাঁঠাল খাওয়ার ১২ উপকারিতা
বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। কাঁঠাল একটি গ্রীষ্মকালীন ফল যা বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম ও বাজারে পাওয়া যায়। কাঁঠাল খাওয়ার কারণে বারটি উপকার রয়েছে। জানলে আপনি খুবই অবাক হবেন কাঁঠালের উপকারিতা।
আরো পড়ুন
গোঁফে তেল দিয়ে পাকা কাঁঠাল খাওয়ার অপেক্ষার প্রহর শেষ। বাংলাদেশের গ্রীষ্মের ফল কাঁঠাল পাকতে শুরু করেছে। এটি বাংলাদেশের জাতীয় ফল হিসেবে খেতে খুব সুমিষ্ট এই ফলটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। একটি কাঁঠালের মধ্যে এক কাপ কাঁঠালে মেলে ১৫৭ ক্যালোরি, ৩৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৪০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২ গ্রাম ফ্যাট, ৩ গ্রাম ফাইবার এবং ৩ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়া অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, কপার ও ম্যাংগানিজেরও উৎস কাঁঠাল। এই মৌসুমে প্রতিটি বাজারে কাঁঠাল সহজে পাওয়া যায়। কাঁঠালের মৌসুমে নিয়মিত ফলটি খেলে পাওয়া পাওয়া যাবে বিভিন্ন প্রকার অনেক উপকার।
কাঁঠাল বাংলাদেশের একটি জাতীয় ফল । পাকা কাঁঠালে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। ছবি: এভরি ডে হেলথ
🪧 কাঁঠাল গাছের বৈশিষ্টা
🪧 কাঁঠাল গাছের ছবি
🪧 কাঁঠাল খেলে কি ক্ষতি হয়
🪧 কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
🪧 কাঁঠাল পাতার বর্ণনা
🪧 কাঁঠাল কোন পরিবেশে ভালো হয়
🪧 কাঁঠাল গাছের উপকারিতা
🪧 কাঠাল গাছে ফল ধরানোর উপায়
কাঁঠালের বারটি উপকারিতা জানুন
১। কাঁঠালের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ভরপুর। এই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
২। ফাইবারের ভালো একটি উৎস কাঁঠাল। প্রতিনিয়ত কাঁঠাল খেলে যে ধরনের সমস্যা গুলি দূর হয়ে যাবে। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয় নিয়মিত কাঁঠাল খেলে। বিশ্বাস হচ্ছে না খেয়ে দেখুন।
৩। আলসারের সমস্যা প্রাকৃতিক উপায়ে কমাতে সাহায্য করে কাঁঠালে থাকা এক ধরনের উপকারী উপাদান। তাই কম করে হলেও এই মৌসুমে একটি কাঁঠাল কিনে এনে খাবেন।
৪। বেশ কয়েক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎস কাঁঠাল। এসব উপাদান হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং রোগ নিয়ন্ত্রণে খুবই উপকারী একটি ফল কাঁঠাল।
৫। কাঁঠালে থাকা পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এতে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। তাই কাঁঠাল খান শারীরিকভাবে সুস্থ হন।
আরো পড়ুন কাঁঠালের উপকারিতা
৬। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি মেলে কাঁঠাল থেকে থেকে পাওয়া যায়। নিয়মিত কাঁঠাল ফলটি খেলে তাই ত্বক ভালো থাকে ও ত্বককে রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দূরে রাখা যায়।
৭। কাঁঠাল খেলে ক্ষুধা কম লাগে ও অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে কাঁঠাল খেলে। ফলে অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে দূরে থাকা যায় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৮। বেশ কয়েক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎস কাঁঠাল। এসব উপাদান হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে কাঁঠাল।
৯। ক্যানসারের ঝুঁকি কমে কাঁঠাল খেলে। কারণ কাঁঠালে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহকে ক্ষতিকর ফ্রির্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে তাই শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য কাঁঠাল খাওয়া শুরু করুন।
১০ । শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে কাঁঠালে থাকা ভিটামিন সি কাঁঠালে থাকা কারণে।
১১। কাঁঠালে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি হাড় শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে। শারীরিকভাবে স্ট্রং থাকার জন্য কাঁঠালের বিকল্প কিছুই নেই।
১২। আয়রন মেলে ফলটি থেকে। এই খনিজ উপাদান রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে কাঁঠাল।