কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা
কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা।
বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। বাংলাদেশের সব জায়গায় কম বেশি কাঁঠাল পাওয়া যায় এই ফলটির সহজলভ্য।
এর জন্য কাঁঠালকে সুপার ফল বলা হয়। কাঁঠালের মধ্যে যে পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে তা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
আমাদের দৈনিক কম করে হলেও পাঁচ থেকে দশটি রোয়া খাওয়া উচিত কাঁঠালের।
কাঁঠাল একটি বিশেষ প্রকার ফল জাগি সকালে পাওয়া যায় এবং কি বাংলাদেশের সব জায়গায় পাওয়া যায় এবং দামে খুবই কম খেতে খুব সুস্বাদু।
সাধারণত আমাদের দেশে বসন্ত ও গ্রীষ্মের প্রথমে কাঁচা এবং গ্রীষ্ম ও বর্ষায় পাকা কাঁঠাল পাওয়া যায়। এ ফলটি আকারে বেশ বড়। অনেকের বেশ প্রিয় হলেও কাঁঠালের গন্ধ পছন্দ না হওয়ায় অনেকে খেতে চায় না। তবে কাঁঠালের পুষ্টিগুণ জানলে অনেকে ভক্তও হয়ে যেতে পারেন এ ফলটির।
বাংলাদেশের যে কোন স্থানে কাঁঠাল ফলটি সহজেই পাওয়া যায় কিনে একবার হলেও খেয়ে টেস্ট করে দেখুন কাঁঠালের গুণগত মান কতটা সুস্বাদু ও রসালো।
কাঁঠালের উপকারিতা:
রসালো ফল কাঁঠালে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, বি-১, বি-২, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ নানা রকমের পুষ্টি ও খনিজ উপাদান। এই সকল পুষ্টিকর উপাদান আমাদের শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর পাশাপাশি কাঁঠাল আমাদের ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ করে। সাধারণত কাঁঠালের বিচিতে ৬.৬ গ্রাম আমিষ আছে ও ২৫.৮গ্রাম শর্করা আছে। আমাদের সবার জন্যই আমিষসমদ্ধ কাঁঠালের বিচি বেশ উপকারী।
কাঁঠাল ফলটি খেয়ে ভিটামিন ‘এ’- এর ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব। স্বাভাবিক আকারের কাঁঠালের ৪-৫ কোয়া থেকে ১০০ কিলোক্যালরি পর্যন্ত খাদ্য শক্তি পাওয়া যায়। কাঁঠালের হলুদ রঙের কোষ হচ্ছে ভিটামিন ‘এ’ সমদ্ধ। ২-৩ কোয়া কাঁঠাল আমাদের এক দিনের ভিটামিন ‘এ’ এর চাহিদা পূরণ করে।
কাঁঠাল এটি বাংলাদেশের জাতীয় ফল। কাঁঠাল যদি আপনি জীবনে একবার খান তাহলে বারবার খেতে চাইবেন কাঁঠাল মুড়ি দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে কাঁঠালের বিচি দিয়ে ভর্তা বানিয়ে খাওয়া যায় এবং রান্না করেও খাওয়া যায় খেতে খুব মজা।
জীবনে একবার হলেও কাঁঠাল খেয়ে দেখবেন কাঁঠালের মতো আর দ্বিতীয় কোন ফল পাবেন না যা এতটা সুস্বাদু যে একবার খেলে শুধু বারবার খেতে চাইবেন।
গ্রীষ্মকাল মৌসুমে বাংলাদেশের যে কোন অঞ্চলে কাঁঠাল পাওয়া যায় লোকাল বাজার সুপারমার্কেট যেকোনো জায়গায় কাঁঠাল পাওয়া যায় কিনে একবার হলেও খেয়ে দেখবেন।